১. আপনার প্রোফাইলটা একটু ঘসামাজা করুনঃ
LinkedIn এ খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং অবহেলিত অংশ আপনার পেশাদারী ‘প্রোফাইল’। কারণ এই খানে আপনাকে দেখাবে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, শিক্ষা। সবচেয়ে বড়, আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠবে। LinkedIn প্রোফাইলটা আপনার সাধারণ সিভি থেকেও শক্তিশালী হবে যদি আপনি একে ভালো করে সাজান, উপস্থাপন করেন। একটি সিভি সাধারণত দুই পাতার হয়, এই দুই পাতায় অনেকেই তার সম্পূর্ণ তথ্য দিতে পারে না। তাদের জন্য LinkedIn যেখানে আপনি আপনার প্রজেক্ট, পাবলিকেশন সব বিস্তারিত রাখতে পারেন।
LinkedIn এ একটা সুবিধা আপনি যাই করেন আপনার নাম দিয়ে সব সার্চ হবে। LinkedIn এর অনেকগুলো widgets আছে, যেগুলো আপনি যোগ করেলে আপনার প্রোফাইল আরও ভালো হবে যেমন, আপনি একটি পুরস্কার পেলেন, একট কোর্স করলেন, আপনি কতগুলো ভাষা জানেন, আপনি সার্টিফিকেট পেলেন এই সব। এই widgets যোগ করতে চাইলে Profile > Edit Profile তারপর ডান পাশের widgets থেকে একটা একটা করে যোগ করুন।
আপনি আপনার পেশা হিসাবে একটি পেশাদারী ছবি যোগ করবেন। অনেকেই দেখবেন ছবি যোগ করে না। এইটা শুরু না হতেই শেষ এর মত অবস্থা হয়। কারণ যিনি আপনাকে চাকুরী দিবেন বা আপনার সাথে ব্যবসা করতে আসলো প্রথমেই দেখলো আপনার ছবি নাই, ওই সময়টায় নিজেকে বসান তাহলে বুঝবেন কেমন লাগে?
LinkedIn অনেক অংশ নিজে থেকে পূরণ করে। যেমন আপনার প্রোফাইল হেডলাইন। এইটা আপনার বর্তমান কাজে অংশটা আপনার হেডলাইন করে নিবে। ইচ্ছা করলে আপনি এইটা পরিবর্তন করতে পারেন। Profile > Edit Profile এ গিয়ে pencil symbol এ ক্লিক করুন। এইবার আপনার নিজের মত করে কিছু লিখুন।
আপনি যখন Edit Profile mode এ থাকবেন তখন, Skills & Expertise এ আপনার স্কিল গুলো যোগ করবেন। আপনি যা জানেন তাই যোগ করবেন।
LinkedIn এর প্রোফাইলের সব অংশ যখন পূরণ করবেন তখন এইটা একটা অনলাইন সিভি। তাই আপনার অনলাইন সিভিকে প্রতি মাসে আপডেট করবেন। আপনার যদি মনে না থাকে তাহলে আপনি যে কোন অনলাইন রিমান্ডার ব্যবহার করতে পারেন।
২. সবার সাথে যুক্ত হোন এবং যুক্ত থাকুনঃ
LinkedIn এ খুব গুরুত্বপূর্ণ অপশন অন্যান্য পেশাদারীদের সাথে যুক্ত থাকা এবং যুক্ত হওয়া। এই অপশন থেকে আপনি তাদের সাথে যুক্ত হবেন বা যুক্ত থাকবেন যাদের সাথে আপনি কাজ করছেন, করেছেন, যাদের সাথে ব্যবসা করেছেন, পড়াশুনা করেছেন, আপনার পেশায় নিয়োজিত অন্যান্য ব্যক্তি। LinkedIn এ আপনার ব্যক্তিগত ই-মেইলকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আপনি আপনার ই-মেইলের এ্যাড্রেস বুকে থেকে আপনার বন্ধু নির্বাচন করুন। Contacts > Add Connections থেকে আপনি আপনার ই-মেইলে লগ-ইন করুন। তবে নির্বাচনের সময় আপনি সর্তকতা রক্ষা করবেন কারণ যারা আপনার কাজে আসবে তাদের নির্বাচন করুন। আপনি আপনার পরিচয় দিন এবং তারপর তাকে আপনার নের্টওয়ার্কে আমন্ত্রণ জানান।
Skills & Expertise সেকশনে আপনি অন্য তার স্কিল অনুযায়ী (endorsements) মতামত / সমর্থন দিতে পারেন। তবে endorsement দেবার আগে দেখবেন তিনি এই টার যোগ্য কিনা।
৩. জব খোঁজা এবং কর্মী খোঁজার জন্য LinkedIn এর সার্চ অপশন অনেক শক্তিশালী। এর এ্যান্ডভান্স সার্চ অপশনে গেলে বিস্তারিত দেখতে পারবেন।
৪. গ্রুপে যোগদানঃ
LinkedIn এ বিভিন্ন পেশাজীবির বিভিন্ন গ্রুপ আছে। আপনি যে পেশার, সেই গ্রুপে যোগ দেন। এর ফলে দুইটা কাজ হবে আপনি আরো জানতে পারবেন। আবার আপনার কাজে দক্ষতা দেখে অন্য প্রতিষ্টান আপনাকে নতুন জবের অফার করতে পারে। জানার জন্য আপনি বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারেন, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। আপনি আপনার কাজ সবার কাছে উপস্থাপন করতে পারেন।
৫. এ্যাকাউন্ট আপগ্রেড করাঃ
আমরা সাধারণত ফ্রি একাউন্ট ব্যবহার করি। কিন্ত কিছু কিছু অপশন আছে তা ব্যবহারের জন্য আপনি মাসে $ 25 – $ 100 খরচ করতে পারেন। তবে আমরা যদি ফ্রি অপশন গুলো ভালো করে ব্যবহার করি তাহলেও অনেক কাজে আসবে। Labels: Career, Education, Exclusive Posts, Review, Social Network
Responses
0 Respones to "LinkedIn নিয়ে সহজ কিছু কথা। "
Post a Comment