ষ্টিভ জবস এমনি ছিলেন...




ষ্টিভ জবস আমাদের সবার মাঝে অনেক দিন বেঁচে থাকবেন। মানুষ আরো কয়েক প্রজন্ম ধরে ষ্টিভ জবসের মতো কারো জন্য অপেক্ষা করবে। কেউ কেউ তার নোবেল পুরষ্কারের দাবি তুলেছেন। সত্যটা তো এই যে, তিনি আমাদের কোটি মানুষের জীবন যাত্রাকে পাল্টে দিয়েছেন। চলুন দেখি সেই মানুষটি সম্পর্কে ১০টি কম জানা সত্য, যা আপনাকে সত্যি অবাক করতে পারে।
১. তিনি এলএসডি ড্রাগ নিয়েছিলেন: তিনি বার বার নিশ্চিত করে বলেন যে, আমি জীবনে যে দুই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস করেছি, এটা হলো তাদের একটি। তিনি এলএসডি (LSD – lysergic acid diethylamide) ড্রাগটি নিয়েছিলেন। এটা একটি সাংঘাতিক ড্রাগ যার মাধ্যমে আপনার মুড পরিবর্তন হতে পারে। এটা নেয়ার পর, একজনের মুড খুব তাড়াতাড়ি বিভিন্ন স্তরে চলে যেতে পারে। এবং এটা পুরোটাই আন-প্রেডিকট্যাবল – কেউ বলতে পারবে না এই ড্রাগ নিলে ঠিক কী ঘটবে। তার ইমোশন এক স্তর থেকে ভিন্ন স্তরে উঠানামা করবে। এবং এটা দিয়ে হেলুসিনেশন হতে পারে।
২. তিনি জোয়ান বায়েসের সাথে ডেট করেন: ষ্টিভ তার বয়সের দ্বিতীয় দশকে ফোক গায়িকা জোয়ান বায়েসের সাথে ডেট করেন।
৩. তিনি ভেজিটেরিয়ান ছিলেন: ষ্টিভ জবস পশু শিকারে বিশ্বাস করতেন না; এবং তাই তিনি ভেজিটেরিয়ান খাবার গ্রহন করতেন।
৪. তিনি পিক্সার ষ্টুডিওকে বাঁচিয়েছিলেন: পিক্সার ষ্টুডিও প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। ষ্টিভ ১৯৮৬ সালে জর্জ লুকাসের কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে পিক্সার কিনে নেন। এবং পিক্সার থেকে “টয় ষ্টোরি” নামের বিখ্যাত এনিমেটেড সিনেমা বানিয়ে চরম সফলতা নিয়ে আসেন।
৫. তিনি ডিজনীর সবচে বড় শেয়ার হোল্ডার ছিলেন: ২০০৬ সালে ডিজনী যখন পিক্সারকে কিনে নেয়, তখন ষ্টিভ ডিজনীর বোর্ডে চলে আসেন। এবং তিনিই ছিলেন এককভাবে সবচে বড় শেয়ারের মালিক।
৬. অস্টম শ্রণীতে পড়ার সময় এইচ.পি-তে তিনি ইন্টার্ণ করার অফার পান: ষ্টিভ অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি একটি ফ্রিকোয়েন্সি কাউন্টার এসেম্বলী করছিলেন। এটা তাকে করতে দিয়েছিল বিখ্যাত কমপিউটার কম্পানী এইচ.পি। ষ্টিভ জবস একদিন এইচ-পি’র কো-ফাউন্ডার উইলিয়াম হিউলেটকে টেলিফোন করে বলেন যে, ওখানে একটা পার্টসের অভাব রয়েছে। হিউলেট তার সাথে ২০ মিনিট কথা বলেন। এবং পরের দিন এক ব্যাগ ভর্তি পার্টস পাঠিয়ে দেন। আর জবসকে পরের গ্রীষ্মে ইন্টার্ণ করার অফার দেন।
৭. তিনি এবং ষ্টিভ ওজনিয়াক প্রথমে “ব্লু বক্স” বিক্রি করা শুরু করেন: দুই বন্ধু মিলে প্রথমে যে জিনিসটি তৈরী করেন সেটা হলো একটা ব্লু বক্স। এই ব্লু বক্সেটির কাজ ছিল টেলিফোনকে বোকা বানিয়ে বিনা মূল্য পৃথিবীর যেকোন স্থানে কথা বলা যেত। এটা যদিও আইনসিদ্ধ ছিল না, কিন্তু মানুষ এটা পছন্দ করেছিল। এটা করে তারা ৬ হাজার ডলারের মতো যোগাঢ় করেছিল।
৮. তিনি উদ্বাস্তু ছিলেন: ২০০৫ সালে ষ্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বলেছিলেন, আমার ডর্ম ছিল না। তাই আমি বন্ধুদের রুমের সামনে বারান্দায় ঘুমাতাম। আমি কোকের বোতল যোগাঢ় করতাম যা ফেরত দিলে ৫ সেন্টস করে পাওয়া যেতো, যা দিয়ে আমি খাবার কিনতাম। আর সপ্তাহে একবার ভালো খাবারের জন্য প্রতি রবিবার আমি সাত মাইল হেটে শহরের আরেক প্রান্তে হরে কৃষ্ণ মন্দিরে যেতাম।
৯. তিনি অ্যাপল ষ্টোরের ভতের কাঁচের সিড়িটি প্যাটেন্ট করেন: ‌অ্যাপলের কয়েক হাজার প্যাটেন্ট রয়েছে। তার ভেতর ৩১৭টিতে তার নাম রয়েছে। এমন কি তিনি অ্যাপল ষ্টোরের ভেতর যে কাঁচের সিড়িটা রয়েছে, সেটার ডিজাইনও প্যাটেন্ট করে রাখেন।
১০. তিনি দীর্ঘদিন লাইসেন্স প্লেট ছাড়া গাড়ি চালান: ষ্টিভ জবের ২০০৭ সাল মডেলের মার্সিডিস বেঞ্চ এসএল-৫৫ গাড়ি ছিল। তিনি সেই গাড়িটি কয়েক বছর কোনও রকম লাইসেন্স প্লেট ছাড়াই চালান।
তথ্য সূত্র: ফক্স নিউজ


Responses

0 Respones to "ষ্টিভ জবস এমনি ছিলেন... "

নিয়ে নিন HD ফেসবুক চ্যাট ইমু । যারা ফেসবুক চালান তারা একবার হলেও এদিকে আসেন
বিল গেটস ::: কম্পিউটার জগতের জীবন্ত কিংবদন্তী
Youtube এর Video দেখুন,শুধু মাত্র নিচের Addon ডাউনলোড এর মাধ্যমে ...
বই ও সফটওয়্যারের জন্য আপনাকে আর কারো কাছে সাহায্য চাওয়া লাগবে না …… আমার সংগ্রহের সবকিছু শেয়ার করলাম
 

Flash Labels by Way2Blogging

Translate

free counters

Clock

Return to top of page Copyright © 2010 | Platinum Templates Converted into Blogger Template by SEO Templates
^ Back to Top