ভাইরাস কি তা জানুন
শুরুতেই আমি recommend করবো ভাইরাস কি তা জেনে নেওয়ার জন্য। শত শত বর্ষ আগে যুদ্ধের পূর্বে মানুষ তার শক্রুর অবস্থান ও তাদের সৈন্য-সামর্থ গোয়েন্দা পাঠিয়ে খবর নিত যাকে Reece বলা হয়। আপনি আপনার শক্রু সম্পর্কে যত বেশি জানবেন তাকে ততো সহজে ধ্বংস করতে পারবেন। তাই প্রত্যেকেরই উচিত ভাইরাস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করা। “ভাইরাস হলো অসৎ উদ্দেশ্যে বানানো সফট্ওয়্যার” কম্পিউটার প্র্রোগ্রামাররা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই সফট্ওয়্যারগুলো তৈরি করে থাকেন। বিস্তারিত..প্রয়োজন ও Activity অনুযায়ী বেছে নিন আপনার জন্য সেরা Anti-virus software টি
আমরা Anti-virus সবাই ব্যবহার করি। আপনার জন্য কোন Anti-virus টি সবচেয়ে নিরাপদ তা depend করে আপনি কম্পিউটারে কি কি কাজ করেন তার উপর, যেমন: ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা, ইমেইল থেকে attachment ওপেন করা এবং suspicious websites ব্রাউজ করা। যদি আপনার কম্পিউটারে কোন Anti-virus সফট্ওয়্যার ইন্সস্টল করা না থাকে তাহলে বিনা সন্দেহে বলা যায় যে, ওয়েব ব্রাউজিংয়ের 1ম ঘন্টায়ই আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবে। তাই আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোন ফ্রি বা পেইড Anti-virus ইন্সস্টল করে নিন এখনই। পাঠকের সুবিদার্থে নিচে কিছু ফ্রি Anti-virus এর ডাউনলোড লিংক দিলাম:Avira | Avast | AVG | PC Matic
Anti-virus software টি নিয়মিত Update করুন
আপনি যদি দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ Anti-virus program টি আপনার কম্পিউটারে installed করেন এবং তা নিয়মিত Update না করেন তাহলে আপনর কম্পিউটারে Anti-virus থাকা আর না থাকা একই কথা। কারন প্রতিদিনই নতুন নতুন ভাইরাস বের হচ্ছে আর এদেরকে সংজ্ঞায়িত করে ধ্বংস করতে হলে নিয়মিত আপনার Anti-virus টির viruses definitions আপডেট করতে হবে। যা আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই সংক্রিয় ভাবে Anti-virus টি নিয়মিত Update হবে।ডাউনলোডের সময় সতর্কতা
ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সময় ওয়েব সাইটের illegal software, downloads, sexual references, free screensavers, cracks or serials, ইত্যাদি পরিহার করুন। এধরনের কনটেন্ট গুলোর উপর ক্লিক করছেন মানে আপনি সর্বনাশ করলেন। কিছু বিদেশি ভাষার ওয়েবসাইট যে ভাষা আপনি বুঝতে পারেন না এমন ওয়েব সাইটেই বেশি বিপদজনক কনটেন্ট(ফাঁদ) থাকে। তাই ওয়েব সাইট ব্যবহার করার সময় উপরুক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন।নিয়মিত Windows Update করুন
নিয়মিত Windows আপডেট করুন। এটি আপনার কম্পিউটারের security বহুগুনে বাড়িয়ে দিবে। এই security updates গুলো ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ভুমিকা রাখে। আপনি খুব সহযেই Windows আপডেট করতে পারেন, এজন্য আপনাকে start menu তে ক্লিক করে windows update টাইপ করতে হবে এবং চিত্র অনুযায়ী Windows Update এ ক্লিক করতে হবে।ইমেইল ব্যবহারে লক্ষ্যনীয় বিষয়
ইমেইল ব্যবহারের সময় নিশ্চিত হয়ে নিন এই ইমেইলটির sender কে এবং এতে কি attachment আছে। অপরিচিত কোন ইমেইলের attachment নিশ্চিত না হয়ে খুলবেন না। বিপদ এখানেই শেষ নয় ধরুন আপনার কোন বন্ধুর কম্পিউটার একটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত যেটি ইমেইলের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ায়, এমন কম্পিউটার থেকে কোন ইমেইল আসলে তার সাথে সেই ভাইরাসটিও আসবে আর আপনি যথন এই ইমেইলটি খুলবেন তখন আপনার কম্পিউটারও উক্ত ভাইরাস কর্তৃক আক্রান্ত হবে আপনার অজান্তেই।Peer to Peer file sharing করা থেকে বিরত থাকুন
Peer to Peer (p2p) ফাইল sharing করবেন না। এই অপারেশনের মাধ্যমটি অধিকাংশ সময়ই Limewire, Bearshare, Gnutella, Morpheus, Torrents, ইত্যাদি দ্বারা আক্রান্ত থাকে। এই প্রোগ্রামগুলো অন্য কম্পিউটার থেকে আপনার অজান্তেই files download করতে থাকে। এবং আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে আপনি কিছুই করতে পারবেন না।ওয়েব সাইট থেকে ডাউনলোডে এ সতর্কতা
বিশ্বস্ত ও পরিচিত ওয়েব সাইট ছাড়া অন্য কোন ওয়েব সাইট থেকে ডাউনলোড করবেন না। আপনি কি ডাউনলোড করছেন তা জানার কোন উপায় নেই। হয়ত আপনি যে ফাইলটি খুঁজছেন সেই নামেই আপনার সামনে আসবে যা কিনা যে কোন বিপদজনক ভাইরাস হতে পারে। এজন্য আপনি যাই ডাউনলোড করেন না কেন প্রথমেই নিশ্চিত হোন যে আপনি সেই কনন্টেটির নিজস্ব ওয়েব সাইট থেকেই ডাউনলোড করছেন।Firewall Protection টি স্বচল রাখুন।
নিশ্চিত হোন যে আপনার কম্পিউটারের Firewall অপশনটি enable আছে। উইন্ডোজ এর সাথেই বিল্টইন Firewall থাকে, আপনি চাইলে কোন third party-র Firewall ও ব্যবহার করতে পারেন যেমন: Zone Alarm. Firewall enable না খাকলে Control Panel থেকে তা enable করে নিন।কষ্ট করে সম্পূর্ন post টি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ. To help your friends to defensive computing please share this post with them.
Responses
0 Respones to "9টি কার্যকর ও অব্যর্থ টিপস: ভাইরাস কে বিদায়।"
Post a Comment